মরণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত ভারত। এই অবস্থার মধ্যেই দেশটির দিকে এবার ধেয়ে আসছে চলতি বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘তাওকতে’ (Cyclone Tauktae)। ইতোমধ্যে এর প্রভাবে দেশটির কোনো কোনো রাজ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, আবর সাগর ও লাক্ষাদ্বীপ এলাকা থেকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। আরব সাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপটি আগামী রোববারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।
ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তাওকতে (Cyclone Tauktae)। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে সাইক্লোন তাওকতে। সোমবারই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে তাওকতে। ঘণ্টায় ঝড়ের বেগ হতে পারে ১৫০-১৬০ কিমি। ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি। সোম ও মঙ্গলবারের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে এই ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। ১৮ তারিখ সকালে গুজরাট উপকূল ছুঁতে পারে ঘূর্ণিঝড়।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজ জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের আধিকারিকরা বৈঠকে যোগ দেবেন।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ইতিমধ্যেই কেরল, কর্নাটর, তামিলনাড়ু, গুজরাট, মহারাষ্ট্রে অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই লাক্ষাদ্বীপের উপর আরব সাগরে তৈরি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তামিলনাড়ুর দক্ষিণ ও পশ্চিম অংশে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে কোয়েম্বাটুরে NDRF দল পাঠানো হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে কন্যাকুমারীতে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে, সমুদ্র উত্তাল হতে পারে।
মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সাইক্লোনের প্রভাবে ১৬ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ১৫ ও ১৬ তারিখ মুম্বইয়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, লাক্ষাদ্বীপ কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু উপকূলের পাশাপাশি ১৫ মে গোয়া এবং মহারাষ্ট্র উপকূলেও সমুদ্র উত্তাল হবে বলে পূর্বাভাস আবহবিদদের। লাক্ষাদ্বীপে সমুদ্রের ঢেউ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত উপরে উঠতে পারে বলেও সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।