বাংলাদেশের চূড়ান্ত দলে যারা থাকছেন-
গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান, শহীদুল আলম ও রাসেল মাহমুদ
ডিফেন্ডার: তপু বর্মণ, তারিক কাজী, রিয়াদুল হাসান, রহমত মিয়া, ইয়াসিন আরাফাত, রিমন হোসেন, মোহাম্মদ ইমন, মেহেদী হাসান, হাবিবুর রহমান।
মিডফিল্ডার: বিপলু আহমেদ, মাসুক মিয়া, সোহেল রানা, জামাল ভূঁইয়া, মানিক হোসেন মোল্লা, রাকিব হোসেন ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
ফরোয়ার্ড: মাহবুবুর রহমান সুফিল, মতিন মিয়া, সুমন রেজা, মেহেদি হাসান রয়েল, মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মোহাম্মদ জুয়েল।
গত বছর ঢাকায় নেপালের বিপক্ষে মুজিব শতবর্ষ সিরিজ ও কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের জন্য জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছিলেন তারিক কাজী। কিন্তু চোটের কারণে ক্যাম্প থেকে ছিটকে যান ফিনল্যান্ডপ্রবাসী এই ডিফেন্ডার। এবার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ের বাকি তিন ম্যাচের প্রাথমিক দলেও ডাক পান। আজ ঘোষিত ২৫ সদস্যের চূড়ান্ত দলেও জায়গা করে নিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের এই ডিফেন্ডার।
তারিকের সুযোগ পাওয়া অনুমিত ছিল। প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পে ডাকা ২৮ জনের মধ্যে টিকে ছিলেন যে ২৫ জন, তাঁরা সবাই আছেন চূড়ান্ত দলে। টিকে গিয়েছেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলামের জায়গায় অনেক দিন পরে ফেরা রাসেল মাহমুদও। চূড়ান্ত দলে রাখা হয়েছে করোনায় আক্রান্ত মোহাম্মদ ইব্রাহিমকেও। আরেকটি করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে ২৮ মে সরাসরি কাতারে যাবেন ইব্রাহিম।
আজ নতুন করে দুজন খেলোয়াড় ছিটকে যাওয়ায় দল গঠন করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি জেমি ডেকে। চোটের কারণে ক্যাম্প ছাড়তে হয়েছে উইঙ্গার সাদ উদ্দিনকে আর পাসপোর্ট জটিলতায় দল থেকে ছিটকে পড়েন ডিফেন্ডার রেজাউল রেজা। পাঁচ বছর পর জাতীয় দলে ফিরলেও পাসপোর্টের মেয়াদ না থাকায় দলের সঙ্গী হওয়া হলো না রেজাউলের। পারফরম্যান্সের বিচারে চূড়ান্ত দলে থাকার কথা থাকার কথা ছিল তাঁর।
আগামীকাল বেলা ১১টায় সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হবে বাংলাদেশ। দাম্মামে স্থানীয় ক্লাবের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন জামাল ভূঁইয়ারা। সুযোগ হলে দুটি ম্যাচও খেলা হতে পারে। সেখান থেকে ৩০ মে কাতার যাবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বে ৩, ৭ ও ১৫ জুন যথাক্রমে আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের বিপক্ষে লাল–সবুজের তিন ম্যাচ।