শনিবার (১৫ মে) টিভিতে দেওয়া এক ভাষণে এ হুঁশিয়ারি দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গাজায় হামলা “যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ” অব্যাহত থাকবে। তার মতে, চলমান সংঘর্ষের জন্য ইসরায়েলি বাহিনী দায়ী নয়, বরং হামলাকারীরাই দায়ী।
শনিবার (১৬ মে) টিভিতে দেওয়া এক ভাষণে একথা বলেন নেতানিয়াহু। এমন একটি সময়ে এ হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি, যখন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ভেতর চলমান সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭১ জন ফিলিস্তিনি ও ১০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
এর আগে রবিবার (১৬ মে) ভোরে বিমান হামলায় কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছিল দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিকদের প্রচারিত ছবি অনুসারে, বিমান হামলার ফলে গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল শিফাতে যাওয়ার প্রধান একটি রাস্তা গর্ত হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা গাজায় ধসে পড়া ভবন থেকে হতাহতদের উদ্ধারের জন্য অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আবেদন করলেও তা নিয়েও সংশয় দেখা দিচ্ছে।
রবিবার এ বিষয়ে জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যম কাঠামোকে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এ ধরনের সংঘর্ষ যেকোনো মূল্যে এড়াতে হবে বলে সতর্ক করেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনরায় নিশ্চিত করেছেন এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
শনিবার লন্ডন, ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বজুড়ে গাজায় ইসরায়েলের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
শনিবার হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ বলেন, শত্রুতার একমাত্র অন্তর্নিহিত কারণ জেরুজালেম।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৭ মে) আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হওয়ার পর সোমবারও মসজিদ প্রাঙ্গণে সংঘর্ষে আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়। সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় কমপক্ষে ৪১ জন শিশু মারা গেছে। এছাড়া শনিবার গাজায় মায়েদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে আসা একই পরিবারের ৮ শিশু ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মহলে একটি চিঠিও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।