ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চার দিনের টানা বিমান হামলার পর স্থল অভিযান শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। অঘোষিত চলমান যুদ্ধের ফলে আকাশ থেকে বোমা ফেলার পাশাপাশি ভূমিতেও আক্রমণ চালাচ্ছে তারা।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, এরইমধ্যে গাজা সীমান্তে ৫ হাজার রিজার্ভ সেনা পাঠিয়েছে ইসরায়েল। তবে ৯ হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গান্তজ।
খবরে বলা হয়, সব মিলিয়ে মোট ৯ হাজার সেনা নাকি ১৪ হাজার সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থল অভিযানের ব্যাপারে হামাস কড়া হুঁশিয়ারি দেয়ার পর বিষয়টি অস্বীকার করছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, গাজার লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি বিমান বোমা ফেলছে, গোলা ছুঁড়ছে স্থল সেনারা। তবে উপত্যকার ভেতরে বর্তমানে কোনো ইসরায়েলি সেনা নেই।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বের হয়, গাজায় স্থল অভিযানের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পরই তার বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ‘কঠিন পরিণতি ভোগ করার’ ঘোষণা দেয় প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত ৫ দিন ধরে অব্যাহতভাবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে হামাস। এখন পর্যন্ত ১৮০০টি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে সংগঠনটির সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড।
পার্সটুডে জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২৮ শিশুসহ ১১৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো ৫৮০ জন আহত হয়েছেন। এর বিপরীতে হামাসের হামলায় কমপক্ষে ৭ ইসরায়েলি নিহত এবং বেশ কয়েক ডজন আহত হয়।