‘ঘরে বসে ভারতীয় চিকিৎসকের পরামর্শ’ নেওয়ার অফার দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে এবং এই সেবার নামে বিদেশে অর্থপাচার হচ্ছে দাবি করে এসব বিজ্ঞাপন বন্ধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তথ্য, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবদের এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান ও হেলথ পোর্ট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল সোমবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টেলি মেডিসিন ই-হেলথ (বিএসটিইএইচ) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে ওই আইনজীবী নোটিশ প্রেরণ করেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘ঘরে বসে ইন্ডিয়ান ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন আরও কম খরচে কোনও প্রকার টিকিট এবং ভিসার ঝামেলা ছাড়াই মাত্র ৩ হাজার টাকা’; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এমন একটি বিজ্ঞাপন বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন। ওই বিজ্ঞাপন ভারতীয় আইন ও বাংলাদেশ টেলি-মেডিসিন সংক্রান্ত নীতিমালারও লঙ্ঘন। তাই এই বিজ্ঞাপন প্রচার ও প্রকাশ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থানরত চিকিৎসকের কাছে অর্থ পাঠানো আইনি প্রক্রিয়া অনুরসণ না কলা হলে সেটা বাংলাদেশের প্রচলিত মানি লন্ডডারিং আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তাই বেআইনিভাবে টাকা পাঠানো বন্ধ করা প্রয়োজন।
নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। আর হেলথ পোর্ট বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সাতদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।