রক্তদান বাঁচাতে পারে জীবন, ফোটাতে পারে অনেক আর্তের মুখে হাসি। আজকের দিনটি তাদের উৎসর্গীকৃত। রক্তদাতাদের জন্য। নিঃশর্তে ও অর্থ না নিয়ে অনেকেই মানবিকতার খাতিরে এগিয়ে আসেন রক্তদানে। তাদের সম্মান জানাতেই বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী রক্তদাতাদের কুর্নিশ জানাতে ২০০৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ১৪ জুনকে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। পরের বছর হু-এর ৫৮তম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রক্তদানের সচেতনতা বাড়াতে গোটা বিশ্বজুড়েই দিনটি পালন করা হবে। অস্ট্রিয়ান বায়োলজিস্ট ও ফিজিশিয়ান কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের আজ জন্মদিন। যিনি ব্লাড ট্রান্সফিউশিন পন্থার জনক। তাঁর জন্মদিনকে সম্মান জানাতেই আজকের দিনটিকে বেছে নেওয়া।
রক্তদানের মাধ্যমে বাঁচানো যেতে পারে প্রাণ, গড়ে তোলা সম্ভব ভালোবাসার বন্ধন। সেই বার্তা মনে করাতেই প্রতি বছর রক্তদাতা দিবস পালন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন রক্তদানের মহৎ ব্রত নিয়ে, তাদেরকে একত্রে কাজ করার বার্তাও দেওয়া হয় এই বিশেষ দিনটির মাধ্যমে। পাশাপাশি গোটা বিশ্বের রক্তদাতাদের এই বিশেষ দিনে কৃতজ্ঞতা জানাতেই দিনটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। চলতি বছরের বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজক ইতালি। রাজধানী রোমে হচ্ছে যে অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কোয়ান্টাম ল্যাবে গত এক মাসে (১৪ মে থেকে ১৩ জুন) রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৫৬ ইউনিট। যদিও গত বছর এই সময়ে এক মাসে (১৪ মে থেকে ১৩ জুন ২০২০) এ সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮৯২ ইউনিট। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এই সময়ের এক মাসে সংগ্রহ বেড়েছে প্রায় ৬৬৪ ইউনিট।
২০২০ সালে সারাবছরে কোয়ান্টাম ল্যাবে রক্ত ও রক্ত উপাদানের চাহিদা ছিল ৯৭ হাজার ৬১৪ ইউনিট। এর বিপরীতে ল্যাব সরবরাহ করতে পেরেছে ৮৫ হাজার ৩৫৭ ইউনিট। চলতি বছর ১৩ জুন পর্যন্ত ছয় মাসে চাহিদা ছিল ৪৩ হাজার ৭২৯ ইউনিট; এর বিপরীতে ল্যাব সরবরাহ করতে পেরেছে ৩৯ হাজার ৭১৮ ইউনিট।
২০০০ সালে শুরু করে দুই দশকের নিরলস প্রচেষ্টায় কোয়ান্টাম ল্যাব গড়ে তুলেছে তিন লক্ষাধিক রক্তদাতার একটি ডোনার পুল। এ পর্যন্ত কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম প্রায় ১২ লাখ ৯৩ হাজার রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করে মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করতে পেরেছে।