সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতের বুধবার (৪ আগস্ট) রাজধানী থেকে আটক করা হয় চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক নজরুল রাজকে। তাদের নামে একাধিক মামলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পরীমনি ও নজরুল রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হতে পারে। এছাড়া নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ।
নজরুল রাজকে পরীমনির ‘গডফাদার’ বলে উল্লেখ করেছে র্যাব। তারা জানায়, কখনো ব্যবসায়ী, কখনো রাজনীতিবিদ, আবার কখনো প্রযোজক-পরিচালক- একেক সময় একেক পরিচয় ধারণ করতেন। এসব করে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছে নজরুল।
পরীমনিকে শোবিজ দুনিয়ায় নিয়ে এসেছিলেন নজরুল রাজ। সিনেমায় অভিনয়ের আগে রাজের কাছেই থাকতেন পরীমনি। গোপালগঞ্জের নজরুল ইসলাম রাজ গেল কয়েক বছর আগে আলোচনায় আসেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নিজ জেলায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি।
সূত্রে জানা গেছে, সিনেমাপাড়ায় বেশ সক্রিয় ছিলেন নজরুল রাজ। ফিল্ম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমিতির নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতেন তিনি। নাটক-সিনেমার প্রতিষ্ঠিত মডেল-অভিনেত্রীদের পাশাপাশি উঠতি অনেক মডেল ছিল তার পছন্দের তালিকায়। এদের দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ফায়দা লুটে নিতে নজরুল রাজ।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে বনানীর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক করা হয় পরীমনিকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার সঙ্গে নজরুল রাজের যোগসূত্র পাওয়া যায়। এরপর নজরুলের বাসা এবং রাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিসে অভিযান চালায় র্যাব। মাদক এবং বিকৃত যৌনাচারের নানা সরঞ্জামসহ আটক করা হয় নজরুল রাজকে।
এদিকে পরীমনি আর নজরুল রাজ আটকের ঘটনায় চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে শোবিজপাড়ায়। আরও প্রায় এক ডজন নায়ক-নায়িকা আর মডেলকে নজরদারিতে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তালিকায় আছে, চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি, শিরিন শিলা, মডেল নায়লা নাঈম, অভিনেত্রী অহনা, পারসা প্রমুখ।