লন্ড্রিতে জামাকাপড় থেকে শুরু অন্তর্বাস, কাচার জন্য পাঠাতেন অনেকেই। কিন্তু মাঝেমধ্যেই খুঁজে পাওয়া যেত না নারীদের অন্তর্বাসগুলো। কিন্তু কোথায় যাচ্ছিল সেইসব অন্তর্বাস, তার হদিস মিলছিল না।
অবশেষে সম্প্রতি ফাঁস হলো সেই রহস্য। লন্ড্রি থেকে অন্তর্বাস চুরি করতে গিয়ে জাপানে হাতেনাতে পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক বৃদ্ধ। আর তারপরই দেখা গেল এক বা দুই নয়, ওই ব্যক্তি আসলে ৭শ’রও বেশি অন্তর্বাস চুরি করেছে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে জাপানের ওইটা প্রদেশে। টাকা দিয়ে চালিত স্বয়ংক্রিয় ওই লন্ড্রি থেকে টেটসুও উরাতা নামে এক পৌঢ় নারীদের অন্তর্বাস চুরি করতে গিয়েছিল। সেসময়ই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান তিনি। এরপরই তাকে আটক করে তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় পুলিশ। দেখা যায়, আরও ৭৩০টি অন্তর্বাস তার বাড়িতে লুকানো রয়েছে।
পরবর্তীতে মেঝেতে পড়ে থাকা অন্তর্বাসগুলোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের পোস্টে শেয়ারও করে স্থানীয় পুলিশ। তারা জানায়, এর আগে কখনো এত বেশি সংখ্যক অন্তর্বাস চুরির ঘটনা সামনে আসেনি। ওই ব্যক্তির এমন শখ দেখে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরাও। অনেকেই ওই ব্যক্তির নিন্দা করেছেন, আবার কেউ কেউ এই বিষয়টি নিয়ে মজাও করেছেন।
তবে এই প্রথম নয়, এই ধরনের অদ্ভুত ঘটনা এর আগেও সামনে এসেছে। দুই বছর আগে অন্তর্বাস চুরির জন্য ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিলেন ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ। জানা গিয়েছিল, নর্থ ওটোগোর বাসিন্দা স্টিফেন গ্রাহাম গার্ডনার নামে ওই বৃদ্ধ মাহেনো থেকে ডুনেডিনে যান মহিলাদের আট জোড়া অন্তর্বাস চুরি করতে। যদিও অদ্ভুত এই শখ মেটাতে গিয়ে চুরির দায়ে ধরাও পড়ে যান তিনি। ডুনেডিন জেলা আদালতে তাঁকে তোলা হলে তিনি বলেন, কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি সেই শহরে যাননি।
তার আইনজীবী জানান, মোয়ানা পুলে শুধুমাত্র স্পা করতেই সেখানে গিয়েছিলেন তার মক্কেল। তবে পুলে স্নানের সময় হঠাৎই তার অন্তর্বাস চুরি করার কথা মনে হয়েছিল। কিন্তু আইনজীবীর কোনও যুক্তিই ধোপে টেকেনি। তার সব আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি। তার কথায়, নারী অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়েই তাদের অন্তর্বাস চুরি করেছেন ওই বৃদ্ধ।