রাজধানী ঢাকার মিরপুরে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন পরিবারের সদস্যরা। ওই তরুণের নাম লিমন ফকির (২৫)।
পুলিশ বলেছে, ভাতিজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল চাচির। চাচা দেশে আসার খবরে সেই সম্পর্ক অস্বীকার করেন চাচি। এ কারণে ভাতিজা আত্মহত্যা করতে পারেন। এ ঘটনায় করা মামলায় নিহতের চাচিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে লিমনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আজ শনিবার বিকালে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব-মনিপুরের ১১৩৩ নম্বর বাসা থেকে লিমন ফকিরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন ভোরের দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার মরদেহ পাঠানো হয়।’
তিনি জানান, নিহত লিমন ফরিদপুর ভাঙ্গা পূর্বসদরদী গ্রামের মৃত টুটুল ফকিরের ছেলে। তিনি পূর্বমনিপুরের একটি বাসার পঞ্চম তলায় সাবলেটে থাকতেন। তিনি কখনো ডাব বিক্রি আবার কখনো রিকশা চালাতেন। তবে তাদের পরিবারের অবস্থা ভালো ছিল।
নিহতের চাচা মালদ্বীপ প্রবাসীর সঙ্গে কয়েক বছর আগে টেলিফোনে এক ছাত্রীর বিয়ে হয়। সেই ছাত্রী মিরপুর কালসী এলাকায় থাতেন। পরে চাচির সঙ্গে ভাতিজার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের কারণে চাচি নিয়মিত লিমনের বাসায় যাতায়াত করতেন।
ওসি বলেন, শিগগির মালদ্বীপ থেকে লিমনের চাচা দেশে আসছেন, চাচি এমন সংবাদ ভাতিজা লিমনকে জানান। চাচি আর ভাজিতার সঙ্গে দেখা করতে যান না। বিষয়টি লিমন মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় লিমনের মা আত্মহত্যার প্ররোচনার একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় লিমনের চাচিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নিহতের মামাতো ভাই শাহরিয়া রহিম গণমাধ্যমকে জানান, দুই মাস আগে লিমন ঢাকায় আসেন। মনিপুর এলাকায় একটি বাসায় সাবলেটে থাকতেন। ওই বাসায় লিমনের মালদ্বীপ প্রবাসী চাচার স্ত্রী যাওয়া-আসা করতেন। পাশের লোকদের কাছে তারা ‘ভাইবোন’ পরিচয় দিতেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার বেআইনি ।
2023 DailyNews24BD.com