ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত আছে।
গতকাল রোববার (৫ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে সারারাত ধরে। সকাল থেকেও অবিরাম চলছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কেও পানি জমতে দেখা গেছে। কাঁদাপানিতে ভোগান্তিতে বেড়েছে পথচারী ও অফিসগামীদের।
টানা বৃষ্টিতে রিকশা ও সিএনজিতে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। ভোগান্তির শেষ নেই খেটে খাওয়া মানুষের। ভাটা পড়েছে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের আয়-রোজগারে। কনকনে শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে রাজধানীর ছিন্নমূল মানুষদেরও দুর্ভোগের শেষ নেই।
এছাড়া গতকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে খানিকটা ছন্দপতন ঘটেছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। আবহাওয়া অফিস বলছে, নিম্নচাপের প্রভাব কমলে সারাদেশের মত রাজধানীতেও কমবে বৃষ্টি।
পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত থাকবে আরও দুদিন
গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও সাইক্লোন জাওয়াদের প্রভাবে আগামী দুদিন পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় থাকবে ভারি বৃষ্টিপাত। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরের পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে ভারতের জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর।
একদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় থেকে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়ে জাওয়াদ। যার প্রভাবে রাজ্যটির পারাদ্বীপ বন্দরে ব্যহত সব কার্যক্রম। নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসল।
এদিকে, কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলে হচ্ছে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত। উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি। সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ। বন্ধ রয়েছে হুগলি নদীতে যান চলাচল।
সমুদ্র এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলো এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে দুই হাজারের বেশি মানুষকে।
অবশ্য আজ সোমবার থেকে জেলেদের চলাচলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কথা রয়েছে।