গত ২২ ডিসেম্বর(বুধবার) কক্সবাজারে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান।
এই পুলিশ কর্মকর্তা শনিবার সাংবাদিকদের জানান, ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া বা চার-পাঁচজন মিলে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো ঘটনা খোঁজে পাননি। ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিন মাস ধরে ওই নারী কক্সবাজারে অবস্থান করছেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা এমন তথ্যের বিষয়ে ভুক্তভোগীর বরাতে জিল্লুর রহমান বলেন, ওই নারী কক্সবাজারে তিন মাস ধরে টানা অবস্থান করছেন। কল লিস্ট পরীক্ষা করেও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়েছি আমরা। তিনি বিভিন্ন হোটেলে থেকেছেন। ওই নারী কেন কক্সবাজারে অবস্থান করছেন, পুলিশকে তা জানিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
জিল্লুর রহমান উল্লেখ করেন, তার কক্সবাজারে অবস্থানের সঙ্গে ধর্ষণের বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। যেহেতু সম্মতি ছাড়া এই ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী দাবি করেছেন। এখন সব বিষয় মাথায় রেখে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এর আগে ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারী কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজিনের আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আলোচিত এই ধর্ষণের ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন আশিকুর রহমান এবং তার তিন সহযোগী ইস্রাফিল খোদা ওরফে জয়, মেহেদী হাসান ওরফে বাবু ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
টুরিস্ট পুলিশকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করেছে র্যাব। এদের মধ্যে প্রধান আসামি আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ইয়াবা, অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ইস্রাফিল খোদা জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার বেআইনি ।
2023 DailyNews24BD.com