আজ ১০ ডিসেম্বর, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘বৈষম্য ঘোচাও, সাম্য বাড়াও, মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও’।
১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। পরে ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, জনসাধারণ তাদের অধিকার সম্পর্কে যাতে আরো বেশি সচেতন হতে পারে এবং মানবাধিকার বিষয়ে কমিশনের কাছ থেকে সহায়তা পেতে পারে, সে লক্ষ্যে কমিশনকে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সামগ্রিক কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষে কমিশনকে আধুনিকায়ন করা ও কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্ষমতা এবং সুযোগ সুবিধা বাড়ানোসহ সকল ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ কমিশন দেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আজ মানববন্ধন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র এ উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদগেটের সামনে র্যালি, মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সামনের সড়কে র্যালি করবে। এছাড়া রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।