প্রায় চার বছর পর বাংলাদেশ থেকে আবারও কর্মী নিতে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে মালয়েশিয়া।
কুয়ালালামপুরে আজ দুপুরে এই স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান। সর্বনিম্ন মজুরি প্রায় ২৫ হাজার টাকা বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
দেশটিতে নেয়ার সব খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তা। মালয়েশিয়ায় প্রায় চার বছর ভিসা বন্ধ থাকার পর আবারও কাজের সুযোগ মিলতে যাচ্ছে বাংলাদেশিদের। কর্মী নিতে রোববার কুয়ালালামপুরে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান।
চুক্তিতে কর্মীদের বাধ্যতামূলক বিমাসহ বেশকিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন, নির্মাণ এবং গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী। মালয়েশিয়ায় সর্বনিম্ন মজুরি ১ হাজার ২০০ রিঙ্গিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ তুলে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। এরপর ২০১৮ সালে প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে একটি চক্র ১০ এজেন্সিকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বছরে ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আবারও বন্ধ হয়ে যায় জনশক্তি রপ্তানি।
গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আবারও শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকারের আমন্ত্রণে রোববার ভোরে মালয়েশিয়া পৌঁছান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল।