ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা থেকে বিদায় নিচ্ছেন আর্ল রবার্ট মিলার।
আর্ল রবার্ট মিলার ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন।
রাষ্ট্রদূত মিলার বিদায়ের আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
বিদায়ী কূটনীতিকরা সাধারণত বিদায়ের আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পান। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য এখন ঢাকার বিদায়ী কূটনীতিকরা তাদের সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না। বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মিলারও তাদের সাক্ষাৎ পাননি।
ঢাকায় যোগ দিচ্ছেন পিটার হাস:
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি. হাসকে মনোনীত করেছে দেশটি। তিনি আর্ল রবার্ট মিলারের স্থলাভিষিক্ত হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৯ জুলাই বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দেশটির পেশাদার কূটনীতিক পিটার ডি. হাসকে মনোনয়ন দেন।
পিটার ডি. হাস গত বছর ২০ জানুয়ারি থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যবিষয়ক ব্যুরোর প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের বাণিজ্য নীতি ও আলোচনা বিষয়ে জ্যেষ্ঠ্য উপদেষ্টা/ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ফ্রান্সের প্যারিসে অর্গানাইজেশন ফর ইকনোমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্টে (ওইসিডি) যুক্তরাষ্ট্র মিশনে স্থায়ী উপপ্রতিনিধি ছিলেন।
পিটার হাস যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সার্ভিসে তার কর্মজীবনে ভারতের মুম্বাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র কন্স্যুলেট জেনারেলে কনসাল জেনারেল ছাড়াও পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঁচটি ভৌগলিক ব্যুরোতে দায়িত্ব পালন করেছেন।