ঢাকা: শান্তিরক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রে মানবাধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করে জাতিসংঘ। আর এই নীতি বিশ্বের যেকোনো দেশের যেকোনো সংস্থার জন্যই প্রযোজ্য।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করতে ১২টি মানবাধিকার সংস্থা শান্তি রক্ষা কার্যক্রমবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে চিঠি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। জাতিসংঘ কি র্যাবের বিষয়ে উদ্বিগ্ন? জাতিসংঘ কি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে?
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘জাতিসংঘ এই মাত্রই খবরটি পেয়েছে। আমরা অবশ্যই এ বিষয়টি দেখব। আমি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমাদের বেশ কঠোর মানবাধিকার যাচাই-বাছাই নীতি আছে। আর তা প্রতিটি দেশের ইউনিটগুলোর জন্য প্রযোজ্য। অবশ্যই যা করা হচ্ছে তা আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। ’
এ বিষয়ে সম্পূরক প্রশ্ন ছিল, ‘ওই ব্যাটালিয়ন যদি জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে এখনো যুক্ত থাকে, তাহলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো যেমন বলছে, যাচাই-বাছাইয়ের নীতিকে কি কঠোর বলা যায়?’ জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘আমি যেমন বলেছি, আমরা বিষয়টি দেখব।’