ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পাঁচদিন পর প্রথম আলোচনার টেবিলে বসেছিল মস্কো ও কিয়েভ। তবে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই প্রথম এই শান্তি আলোচনায়। বৈঠকে কী ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে তাও প্রকাশ করা হয়নি। খবর আল জাজিরার।
সংঘাত শুরুর ৫ দিন পর সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলারুশ সীমান্তে চেরনোবিলের কাছে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের মধ্যস্থতা করেছে রাশিয়ার মিত্র বেলারুশ। ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রাশিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের একজন উপদেষ্টা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, কয়েক দফায় কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে এ বৈঠক। বৈঠকে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় কিয়েভ। তবে এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত আসবে তা দ্বিতীয় বৈঠকের আগে স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে পারে এ বৈঠক। বেলারুশের বেল্টা নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রোববার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো মধ্যস্থতার উদ্দেশ্যে টেলিফোন করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদিমের জেলেনস্কিকে। বৈঠকে বসতে রাজি হলেও জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দেন, চাপের মুখে একখণ্ড ভূমিও ছাড় দেয়া হবে না।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার আক্রমণের কারণে এখন পর্যন্ত ৭ লাখেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। সোমবার রুশ হামলার পঞ্চম দিনে হতাহতের সংখ্যাও অনেক। যদিও রাজধানী শহর কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ এখন ইউক্রেনের হাতে। এদিন কারফিউ তুলে দেয়া হয়েছে কিয়েভ থেকে।