ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি অস্ত্র গুদাম ধ্বংস করার জন্য ‘কিনঝাল’ নামে নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে আগ্রাসনে এটি বড় একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সেবা রিয়া নোভোস্তি জানিয়েছে, এই প্রথম ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার ব্যবহার করল মস্কো।
এই প্রতিবেদনে নতুন এই হাইপারসিনক মিসাইল কিনঝাল সম্পর্কে পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো:
মার্কিন থিংক-ট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) জানিয়েছে, কিনঝাল একটি পরমাণু বোমা এয়ার-লঞ্চড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যা শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি গতিতে উড়তে পারে এবং বায়ু-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে পারে। কিনঝাল মানে হচ্ছে ‘খঞ্জর’।
এই মিসাইলটি দেড় হাজার থেকে ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আর ৪৮০ কেজি ওজন পর্যন্ত পরমাণু বোমা বহন করতে পারে এটি।
কিনঝালের দৈর্ঘ্য ৮ মিটার, ব্যাস ১ মিটার এবং এর ওজন প্রায় ৪,৩০০ কেজি। এই প্রথম কোনো যুদ্ধে অত্যানুধিক নিখুঁত অস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করল।
২০১৮ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার রাষ্ট্রীয় ভাষণে যে নতুন অস্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তার মধ্যে একটি ছিল কিনঝাল। পুতিন কিনঝালকে ‘একটি আদর্শ অস্ত্র’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
সিএসআইএস জানিয়েছে, ছোড়ার পর কিনঝাল দ্রুতগতিতে মাক ৪ (৪,৯০০ কিমি/ঘণ্টা) এ পৌঁছায়। এই গতি মাক ১০ (১২,৩৫০ কিমি/ঘণ্টা) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্রের গতি, এর অনিয়মিত ফ্লাইট ট্র্যাজেক্টোরি এবং উচ্চ কৌশলের কারণে এটি আটকানো অনেকটাই কঠিন।