শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে ভারতের কর্ণাটক হাইকোর্ট। এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিটের বিষয়ে আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, হিজাব পরা কোন বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশাসন নয়।
এর ফলে, হিজাব পরা নিষিদ্ধের বিপক্ষে হাইকোর্টে দায়ের করা ৫টি পিটিশন খারিজ হয়ে গেল। সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অধিকার চেয়ে কর্ণাটকের কয়েকজন মুসলিম ছাত্রী যে আবেদন করেছিলেন, সেই মামলাতেই আদালত এই রায় দিয়েছেন।
ভারতের কর্ণাটক হাইকোর্ট এর প্রধান বিচারপতি আর আর অবস্থীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এসময় আদালত জানায়, সরকারি স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীরা কী পোশাক পরে আসবে, সেই ইউনিফর্ম কোড বেঁধে দেয়ার পূর্ণ অধিকার কর্তৃপক্ষের আছে।
ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ২৫-এ যে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার দেয়, হিজাব পরার বিষয়টি তার আওতায় পড়ে না বলেও আদালত মন্তব্য করেছে।
তবে, আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছে হিজাবের পক্ষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এই রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে কর্ণাটক রাজ্য সরকার রাজধানী ব্যাঙ্গালুরুতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এক সপ্তাহের জন্য বড় ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। ম্যাঙ্গালোরেও ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। উদুপিতে আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি কর্ণাটকের একটি কলেজে হিজাব পরিহিত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ক্লাসে বসতে বাধা দেয়া হয়। পরে এ বিতর্ক দ্রুত পুরো রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক হাইকোর্ট জানায়, রায় ঘোষণার আগে পর্যন্ত কোনও শিক্ষার্থী ধর্মীয় প্রতীক বোঝায় এমন কোন পোষাক পরে ক্লাসে আসতে পারবে না।