আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে একটি মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে। দেশটির কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মুখপাত্র বেসমুল্লা হাবিব বলেন, শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ২টা নাগাদ পশ্চিম কাবুলের খালিফা আগা গুল জান মসজিদে এই বিস্ফোরণ ঘটে।দেশটির গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় কাবুলের একটি মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। এ সময় বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তবে রমজান উপলক্ষ্যে মসজিদে অনেক মুসল্লি থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। বিস্ফোরণের পরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে তালেবানের নিরাপত্তাকর্মীরা। তবে, এ ঘটনার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। তালেবান নিযুক্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাফি তাকোর এই বিস্ফোরণের বিস্তারিত কিছু জানায়নি।মসজিদের ভেতরে থাকা এক মুসল্লি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, নামাজের সময় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার পা ও হাত পুড়ে যায়। মোহাম্মদ সাবির নামে ওই এলাকার আরও এক বাসিন্দা জানান, বিস্ফোরণের পর তিনি অনেক ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখেছেন। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরণ অনেক জোরে ছিল, আমি ভেবেছিলাম আমার কানের পর্দা ফেটে গেছে।’
এর আগে আফগানিস্তানে দুটি পৃথক মিনিবাসে বোমা হামলার ঘটনায় কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দেশটির মাজার-ই-শরিফে এ হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে আফগানিস্তানে জনসাধারণের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা কমেছে। কিন্তু শিয়া জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা করেই চলেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। মূলত শিয়াদের ধর্মদ্রোহী বলে মনে করে থাকে ইসলামিক স্টেট।ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তালেবানের দাবি, তারা জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে পরাজিত করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের কাছে এখনো একটি প্রধান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। অবশ্য গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানে বোমা হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।