ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। এই উৎসব ঘিরে ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায়সহ নানান উৎসবমুখর আয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত বন্ধ ছিল। এবার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আয়োজনের প্রস্তুতি। প্রতিবছরের মতো এবারও চলছে বাঁশ, কাঠ দিয়ে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। তবে নেই কোনো ভিন্নতা। বুধবার জাতীয় ঈদগাহের সার্বিক প্রস্তুতি সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, তোড়জোড় চলছে শ্রমিকদের। মাঠে বাঁশের স্তূপ। চলছে খোঁড়াখুঁড়ি ও বাঁশের খুটি বসানোর কাজ। কেউ প্যান্ডেলের ওপরের বাঁশ বাঁধাইয়ে ব্যস্ত। কেউ নিচ থেকে ওপরের জনকে হাতে বাঁশ বা দড়ি ধরিয়ে দিতে সাহায্য করছেন। কেউবা আবার গর্ত খোঁড়াখুঁড়িতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এভাবেই নানান ধরনের নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকা দক্ষিণ সিটির কাছ থেকে জাতীয় ঈদগাহের প্যান্ডেল নির্মাণের টেন্ডার পেয়েছেন মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও একই পদ্ধতিতে ডেকোরেশনের কাজ হচ্ছে। প্যান্ডেলের কাজে কোথাও কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। শুধুমাত্র গেটগুলোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে কাপড়ের গেট তৈরি করা হতো। আর এবার ফ্লাই বোর্ডের (প্লাইউড) গেট তৈরি করা হবে।’
ঠিকাদার বলেন, ‘দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি ২৬ রোজার মধ্যেই প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
প্যান্ডেল শ্রমিক মনির ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই এখানে প্যান্ডেলের কাজ করি। কিন্তু করোনার কারণে চারটি ঈদ এখানে হয়নি। দুই বছর বন্ধ থাকার পরে আবার আগের মতোই কাজ শুরু হয়েছে। সবকিছু আগের মতোই থাকবে। কোনো পরিবর্তন হবে না।’
দেশে করোনা মহামারির ব্যাপক সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে দুই বছর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এর পরিবর্তে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারবেন মুসল্লিরা।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২ বা ৩ মে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার বেআইনি ।
2023 DailyNews24BD.com