দৃর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা কানাডার উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে পরিবারটি যাত্রা শুরু করে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
মুহিবুল্লাহর গড়া সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা খাতুন, ৯ ছেলেমেয়ে, জামাতাসহ ১১ জনকে কানাডায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কানাডার সরকার তাদের শরণার্থীর মর্যাদা দেবে বলে জানা গেছে।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মুহিবুল্লাহ (৪৮) নিহত হন।
উল্লেখ্য রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন নিয়ে বেশ তৎপর ছিলেন বাংলাদেশে তাদের নেতা মুহিবুল্লাহ। তিনি চেয়েছিলেন জাতিকে নিয়ে নিজ দেশে ফিরতে। দেশী-বিদেশী মিডিয়ার সাংবাদিকদেরকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারে নির্যাতনের কাহিনী শুনাতে গিয়ে কেঁদেছিলেন বহুবার। ১৫ জন সদস্য নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ (এআরএসপিএইচ)। সংগঠনের ব্যানারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করছিলেন তিনি। এমনটাই দাবি করে মুহিবুল্লাহর স্বজনরা বলছেন, স্বদেশে প্রত্যাবাসন তৎপর হওয়ার কারণেই খুন করা হয় তাকে।