চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, সেটি শক্তিশালী হয়ে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হলে তা ভারতের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লঘুচাপ ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ শেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। লঘুচাপটি আগামী সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘আসানি’। নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া। ‘আসানি’ মানে ক্ষুব্ধ।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ৫/৬ মে’র দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। সেটা ধীরে ধীরে হয়তো ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার পর এটির গতিপথ কোন দিকে হবে সেই বিষয়ে পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাস্টেনিবিলিটির আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল (পলাশ) বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো থেকে প্রাপ্ত পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির প্রাথমিক প্রক্রিয়া নিম্নচাপ সৃষ্টি ৬ মে শুরু হবে। ৯ মে দিনগত মধ্যরাত থেকে ১০ মে দুপুরের মধ্যে স্থালভাগে আঘাত করার সম্ভাবনার কথা নির্দেশ করতেছে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বিশাখাপত্নম বন্দরের উপকূল দিয়ে খুবই সক্রিয় ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আঘাত হানবে ১০ মে সকাল ৯টার পর থেকে যে সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার। কানাডার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল বাংলাদেশ উপকূল থেকে পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে ভারতের ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানার কথা নির্দেশ করতেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মডেল অনুযায়ী এটি পশ্চিমবঙ্গের দিকে আঘাত হানবে।’
বাংলাদশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি মে মাসের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এ মাসে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে এর একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। একটি নিম্নচাপ চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই সৃষ্টি হতে পারে।