ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে কেউই পরাজিত করতে পারবে না, এমন আত্মবিশ্বাস নিয়েই আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝেই তৃণমূলের সব সম্মেলন শেষ করাই লক্ষ্য দলটির। একই সময়ে শেষ হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনও। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাদ পড়তে যাচ্ছেন বির্তকিত ব্যক্তিরা।
২১তম জাতীয় সম্মেলনের পর থেকেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে আওয়ামী লীগ। তবে মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর অনেকটাই ধীরগতিতে চলে সাংগঠনিক কার্যক্রম। আর তাতে, প্রায় সব কয়টি সাংগঠনিক জেলাতেই আটকে থাকে নেতৃত্ব নির্বাচন। বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে হয় বিরোধ। অনেকেই মানেননি কেন্দ্রের নির্দেশনা। তাই করোনার প্রকোপ কমে যেতেই চলতি বছরই জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে সম্মেলন হচ্ছে না, এমন কয়েকটি উপজেলা রয়েছে। এগুলোসহ সারাদেশের সব উপজেলায় আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সম্মেলন হবে।
নেতৃত্ব নির্বাচনে কোনো আপোষ হবে না বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতারা। বলেন, কোনোভাবেই পদ পাবেন না বির্তকিত এবং অনুপ্রবেশকারীরা।
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, আগে সাধারণত রোজায় কাউন্সিল ও সম্মেলন হতো না; এবার হয়েছে। জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে কোনো জেলা, উপজেলায় সম্মেলন ও কাউন্সিল বাকি থাকবে না। প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নেও সম্মেলন ও কাউন্সিলের আয়োজন নিশ্চিত করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা।
শুধু মূল দল নয়, নির্বাচনকে সামনে রেখে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠগুলোর সম্মেলনও সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মাঝেই শেষ করতে চায় আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নেত্রীর সবুজ সংকেত পেলেই অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন হয়ে থাকে। এছাড়া সাধারণত মেয়াদোর্ত্তীণ সংগঠনগুলোর সম্মেলন ও কাউন্সিল দলের সম্মেলন হওয়ার আগেই হয়ে থাকে।
পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে রাজপথেও দলকে সংগঠিত রাখতে পারে, এমন বিবেচনাতেই সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।