ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নিই, কিছুদিন পর থেকেই ইভিএম নিয়ে কথাবার্তা পত্রপত্রিকায় চাউর হয়েছিল। এর বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে। শুরু থেকে ইভিএম সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। ব্যক্তিগত ধারণাও ছিল না। এরই মধ্যে ইভিএম নিয়ে অনেক কাজ করেছি। এখন মোটামুটি ধারণা আছে।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ইভিএম সংক্রান্ত সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিইসি।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগে আমরা দুই দফা সংলাপ করেছি। অনেকেই ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। অনেকে সলিউশন (সমাধান) দিয়ে বলেছেন, আরও উন্নত প্রযুক্তির ইভিএম যদি কেনা যায়, তাহলে আরও ভালো হয়। আবার অনেকে সরাসারি বলেছেন, তারা ইভিএমে ভোটগ্রহণ হলে নির্বাচনে যাবেন না। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। তবে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করব, সেটা আমাদেরই (ইসি) সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
আজ তৃতীয় দফায় ও শেষ দফায় ইভিএম নিয়ে ১৩ রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। আমন্ত্রণ জানানো দলগুলো হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট। এ ছাড়া প্রথম ধাপের বৈঠকে গণফোরাম উপস্থিত হতে না পারায় সময় চাইলে ইসি দলটিকেও আসার সময় দেয়।
এই দলগুলোর মধ্যে নয়টি দল বৈঠকে অংশ নিয়েছে। এর আগে ১৯ জুনের বৈঠকে দুটি দল এবং ২১ জুনের বৈঠকে বিএনপিসহ পাঁচটি দল ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার বেআইনি ।
2023 DailyNews24BD.com