শুধুমাত্র আনারসের উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, উৎপাদিত আনারস অন্যান্য রাজ্যে সরবরাহ, এমনকি বিদেশে রপ্তানি করা যায় তার জন্য একের পর এক পরিকল্পনা নিচ্ছে ত্রিপুরা সরকার। এর অংশ হিসেবে কম দামে কার্গো প্লেনে করে অন্য রাজ্যে আনারসসহ অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ত্রিপুরা সরকার কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায় বলেন, রাজ্য সরকার বিভিন্ন উড়ান সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এয়ার কার্গোর খরচ কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়েছে। আগে যেখানে ত্রিপুরা থেকে কৃষিজাত পণ্য কলকাতায় এয়ার কার্গোতে পাঠাতে খরচ হতো প্রতি কেজি প্রায় ২০ রুপি, আলোচনার মাধ্যমে তা কমিয়ে আনা হয়েছে ১২ রুপিতে। অপরদিকে আগরতলা থেকে আনারসসহ অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য দিল্লিতে পাঠানোর খরচ প্রতি কেজি ছিল প্রায় ৪০ রুপি, এখন তা ৩০ রুপি। পরিমাণ যত বেশি হবে ভাড়া তত কম হবে।
মন্ত্রী প্রনজিত সিংহ জানান, এখন সড়কপথের পাশাপাশি এয়ার কার্গোতে নিয়মিত পণ্য সামগ্রী আগরতলায় আসছে। এখানে পণ্য দেওয়ার পর খালি প্লেনগুলো ফিরে যায়। রাজ্য সরকার এই জায়গা আছে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়। আলোচনার ভিত্তিতে শুক্রবার (২৪ জুন) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধুমাত্র আগরতলা থেকে অন্যান্য জায়গায় কার্গো প্লেনে করে পণ্য পরিবহনের ভাড়া কমাতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
সরকারের এই উদ্যোগে খুশি রাজ্যের কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানিকারকরা। এমন একজন পাইকারি রপ্তানিকারক বিষু দেববর্মা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনারস সংগ্রহ করে অন্যান্য রাজ্যে পাঠাচ্ছেন। মূলত সড়কপথে এবং পরবর্তী সময় ট্রেনে করে আনারস পাঠান। কিন্তু এ বছর ভারী বৃষ্টির কারণে আসামে ট্রেন লাইনে ধস নেমেছে, তাই গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে ত্রিপুরা মনিপুর এবং আসামের দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আনারসের মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাদের বড় ক্ষতি হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ভারতের জাতীয় রাজধানী দিল্লির একটি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এয়ার কার্গোতে করে ৩০ মেট্রিক টন কিউ প্রজাতির আনারস পাঠানোর। প্রথম চালান পাঠানোর পর সুবিধার বিষয়টি বুঝা যাবে।