জাপানে (শনিবার) ভয়াল হিরোশিমা দিবস পালিত হয়েছে। প্রতিবছরই শোক আর বেদনায় দিনটিকে স্মরণ করে জাপানসহ গোটা বিশ্ব। সঙ্গে চলে যুদ্ধবিরোধী প্রচার।
এর মাধ্যমে বিশ্বের মানুষ আবারও জানতে পারেন এ পর্যন্ত একমাত্র আমেরিকাই পরমাণু বোমা হামলা করেছে এবং মার্কিন পরমাণু বোমা হামলায় দুই লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দুঃখজনকভাবে আজ এই আমেরিকাই নিজেকে শান্তিকামী হিসেবে প্রচার করে অন্য দেশগুলোকে শান্তিপূর্ণ কাজে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারে বাধা দিচ্ছে।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে ইতিহাসের প্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যদিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে পরিচিতি পায় এই দেশটি। ঐ হামলার পর ৭৭ বছর অতিবাহিত হয়েছে।
আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে জাপান। দিবসটি উপলক্ষে সকালে হিরোশিমায় পিস মেমোরিয়াল পার্কের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা ও স্মরণ সভার আয়োজন করে জাপান সরকার। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসসহ বিশ্বের ৯৯টি দেশের অতিথিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
১২ বছর পর জাতিসংঘের কোনো মহাসচিব হিরোশিমা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। সকাল ৯টায় জাতিসংঘ মহাসচিব জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তাদের সাক্ষাৎকারটি ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এর আগে সকাল সোয়া আটটায় ঠিক মার্কিন হামলার সময় কয়েক মুহূর্ত নীরবতা পালন করেন উপস্থিত জনতা।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমাতে প্রথম পরমাণু বোমা হামলার পর ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে দ্বিতীয় পরমাণু বোমার হামলা চালায় আমেরিকা।
সুত্রঃ পার্সটুডে