জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে। একইসাথে কৃষি ও শিল্প উৎপাদনের উপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করছে। এমন মূল্যায়ন তুলে ধরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃনির্ধারণের সুপারিশ করেছে।
বুধবার ঢাকায় সংস্থাটি তার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত‘জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি:এখন এড়ানো যেতো কি?’ বিষয়ক আলোচনা সভায় এমন সুপারিশ তুলে ধরে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এজাজ হোসেন, বাংলাদেশ নিটওয়্যার পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সহসভাপতি এহসানুল হক শামীম, সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, এবং সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আলোচনায় অংশ নেন।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি থেকে পুনঃরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এখন আমরা একটা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এমন সময়ে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন খরচ এবং কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি করবে। যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেবে এবং বহুমাত্রিক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অনেক বেশি। তাই জ্বালানি তেলের বাড়তি মূল্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলবে। এমতাবস্থায় তেলের দাম কমনোর পাশাপাশি খোলাবাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি এবং রেশনিংয়ের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি।
ফাহমিদ খাতুন আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দেশে তেলের মূল্য বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা একবারে এভাবে না বাড়ানোই শ্রেয় ছিল। তিনি একবারের পরিবর্তে ক্রমান্বয়ে তেলের মুল্য সমন্বয়ের প্রস্তাব করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সরকার ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্টোল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে।
[সূত্র : বাসস]