রাজধানীতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
গতরাত বুধবার (০৩ আগস্ট) পৌনে ১২টার দিকে পল্লবীর বাউনিয়াবাঁধ কাঁচাবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছে থেকে ৩৮টি টিসিবির নকল ডিজিটাল পরিবার পরিচিতি কার্ড এবং ৫০০ লিফলেট উদ্ধার করা হয়। তার নাম সৈয়দ সোহাগ হোসেন।
পুলিশ জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে টিসিবির পণ্য বিক্রির লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষকে প্রলোভন দেখাত সে। পরে ভুয়া ডিজিটাল পরিবার পরিচিতি কার্ড দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত অভিযুক্ত। এর আগেও একই অভিযোগে খুলনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন এ ব্যক্তি।
এদিকে আগস্ট মাসে সারা দেশব্যাপী ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ওই সময় তিনি বলেন, ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিতরণের ক্ষেত্রে কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, অনেকে বলেছেন যে টিসিবির পরিবার কার্ড বিতরণে অনিয়ম হয়েছে, টাকা নেওয়া হয়েছে। এ রকম কথা শুনি আসলে। কিন্তু এ রকম কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। তবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে রোববার (৩১ জুলাই) টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ) পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে টিসিবি ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে আগস্ট মাসের বিক্রয় কার্যক্রম সোমবার (১ আগস্ট) থেকে শুরু হয়। তবে, সোমবার সকালে টিসিবি জানায়, বরাদ্দ দেয়া শুরু হলেও ভোক্তাপর্যায়ে পণ্য মিলবে মঙ্গলবার। আর এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
এ দফায় কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারছেন।
প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৬৫ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ বিক্রি হবে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা ও টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে।