প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬ প্রদান করেছেন।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
কৃষি খাতে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিস্বরূপ ১০টি ক্যাটাগরিতে মোট ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শারমিন আক্তার বিজয়ীদের পক্ষে তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাফল্য ও তার কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩টি স্বর্ণপদক, ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক ও ১৬টি রৌপ্যপদক বিতরণ করা হয়।
১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরবর্তী সরকারগুলো এই পুরস্কার বাতিল করে।
২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত পুরস্কারটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন-২০০৯’ করে। এই খাতের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬’ প্রণয়ন করা হয়।