বাঙালি সংস্কৃতিতে এই আলোর উৎসবকে দীপাবলি বলা হলেও অবাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা একে দিওয়ালি বলে থাকে। ধর্মীয় এই উৎসবকে অনেকে দীপান্বিতা কালীপূজাও বলে থাকে। কাশীনাথ রচিত শ্যামাসপর্যাবিধিগ্রন্থে এই পূজার সর্বপ্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৭৭৭ খ্রিষ্টাব্দে।
‘দীপাবলি’ শব্দটির অর্থ‘ প্রদীপের সমষ্টি’ বা ‘ আলোর সারি’। সাধারণত নবরাত্রি উৎসব অথবা বাঙালিদের দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার ১৮ দিন পর দীপাবলি শুরু হয়।
হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাস অথবা ধনত্রয়োদশী অনুষ্ঠান বা লক্ষ্মীপূজার মধ্য দিয়ে দীপাবলি উৎসবের সূচনা হয়। আর এই উৎসব শেষ হয় কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানটির মধ্য দিয়ে।
অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক হলো শুভ দিওয়ালি বা দীপাবলী। অশুভ অকল্যাণের প্রতীক অন্ধকারকে দূর করে শুভ ও কল্যাণের প্রতিষ্ঠায় এই উৎসব হিন্দুধর্মাবলম্বীরা পালন করে চলেছে শত শত বছর ধরে।
এদিকে, ভারতের অন্যান্য রাজ্জসহ পশ্চিমবঙ্গজুড়ে দীপাবলি উৎসবের পাশাপাশি জেলায় জেলায় শ্যামাপূজা বা কালীপূজা উদযাপন করা হয়। আতশবাজি আর প্রদীপের আলোয় সেজে ওঠে গোটা কলকাতা শহর। সেইসঙ্গে রঙ-বেরঙের আলোয় সাজানো হয় বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার বেআইনি ।
2023 DailyNews24BD.com