রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে বলে নাট্যজন মামুনুর রশীদ যে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন হিরো আলম। এ নিয়ে আবার আত্মহত্যারও হুমকির ভয় দিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে সার্কাস টাইপের উক্ত মানবের উত্থান বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। ডিস ব্যবসায়ী আশরাফুল হোসেন আলম নামের উক্ত ব্যক্তি একের পর এক কন্টেন্ট তৈরি করে, তার ফলোরদের জন্য আপলোড করেন । নিজেই নিজের নাম রাখেন হিরো আলম । তিনি বলেছেন, "আপনাদের রুচিসম্পন্ন মানুষের কারণে যদি আমি আত্মহত্যা করি, তবে এর দায় আপনাদেরই নিতে হবে।" এসব কথা বলে তিনি মূলত তাদের ভয় দেখান ।
সম্প্রতি অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধেয় মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’
রোববার সংবাদমাধ্যমে ‘রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান: মামুনুর রশীদ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি ভাইরাল হয় ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে। এ প্রেক্ষাপটে সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন হিরো আলম। বলেন নানা বিষয় নিয়ে কথা।
হিরো আলম বলেন, ‘তাদের মতো এত বড় মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন। এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। তিনি আরও বলেন, মানুষের রুচি নাকি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি নাকি ১৮ কোটি লোকের রুচি নষ্ট করেছি। আপনারা কেন আমাকে সাপোর্ট করেন, রুচি নষ্ট করেন।’
তিনি বলেন, ‘স্যার আপনি আমাকে নিয়ে যে কথাবার্তা বলেছেন, অনেক আর্টিস্ট আপনার হাতে তৈরি। অনেক লোক আপনার হাতে তৈরি । স্যার আপনি ইচ্ছে করলে কিন্তু আমাকে তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু করেন নাই। হিরো আলমের জন্য বাংলাদেশ নাকি নষ্ট হচ্ছে । যখন নাটকে গালিগালাজ করে, তখন কি আপনাদের রুচি নষ্ট হয় না ।
হিরো আলম বলেন, ‘মানুষের রুচি কেন নষ্ট হবে। কয়টা লোকের রুচি আছে, সংসদে যারা তাদের কয়জনের লেখাপড়া আছে। ১৮ কোটি লোক থাকতে আমাকে নিয়ে কেন রুচিতে বাধে আপনাদের। হিরো আলমকে মেরে ফেলে দেন। মেরে না ফেলে দিলে কেউ থামাতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার যোগ্যতায় আলম থেকে আজ হিরো আলম। মামুনুর রশীদ স্যার, আপনি আমাকে তৈরি করুন। আমাকে তৈরি করবে কে। আমাকে কেউ তৈরি করবে না। তাহলে রুচির পরিবর্তনও হবে না।’
হিরো আলম বলেন, ‘আজ আমার জন্য কে দায়ী। আরে ভাই, আপনারা আমাকে নিয়ে কথা কেন বলেন। কেন ভাই। একদিন এমন লাইভ করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনারা রুচি নিয়ে থাকেন। আমি যদি আত্মহত্যা করি, এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা।’
তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের কাজগুলো দেখেন, রুচি আছে কি না। কত রুচি সম্পন্ন গান উপহার, নাটক বানাতে পারি। এতে আমার কী করণীয়।’
লাইভে হিরো আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি আমাকে জেলে দেন। আমাকে সাহায্য করেন কেউ ? করেন, করেন না। আমাকে ধিক্কার দেয়া বন্ধ করুন। আপনারা বড় বড় কথাবার্তা বলেন। রুচি চেঞ্জ করতে পারেন না কেন। আমি কি অপরাধ করেছি।
এসব অযাচিত কথা বলে সুধীজনের কঠোর সমালোচনা করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার চিরাচরিত পন্থায় তার মূর্খ ফলোয়ারদের ক্ষেপিয়ে তুলেন !
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার বেআইনি ।
2023 DailyNews24BD.com