পাঁচ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি রাজধানীর বঙ্গবাজারে লাগা আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে একে একে বাড়ানো হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট। বর্তমানে আগুন নিভাতে কাজ করছে ৫০টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনায় ঢাকায় ফায়ার সার্ভিসের যত ইউনিট আছে সব ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে পাঠানো হচ্ছে। কারণ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুনের ভয়াবহতা বাড়তেছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় ফায়ার সার্ভিসের যত ইউনিট আছে সব ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলের চারদিকে থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। পানির সংকট দেখা দেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকেও পানি আনতে দেখা গেছে। আর বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারটি রাজধানীর হাতিরঝিল লেক থেকে পানি নিচ্ছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণ পানি সংকট দেখা দেয়ায় বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। মার্কেটে ঈদ উপলক্ষে শাড়ি, জিন্সের প্যান্টসহ বিপুল কাপড়ের স্টক থাকায় আগুনের ব্যাপকতা বাড়ছে। ধোঁয়ায় ছেয়ে যাচ্ছে চারপাশ।
বেশ কয়েক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বঙ্গবাজারের উল্টোপাশে হাঁটা দূরত্বে ফায়ার সার্ভিসের অফিস হলেও আগুর নিয়ন্ত্রণের কাজে শুরুতে গড়িমসি করেছে তারা। সঠিকভাবে কাজ শুরু করলে এতো ভয়াবহ অবস্থা হতো না বলে দাবি তাদের।
দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বঙ্গবাজরের ভয়াবহ আগুন। বঙ্গবাজারের টিনশেড দোতলা মার্কেট পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। নিঃস্ব হয়ে গেছেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী।
এদিকে আগুনের সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ীরা আহাজারি করছেন। খবর পেয়ে আগে যারা ঘটনাস্থলে আসতে পেরেছেন তারা যে যার মতো করে দোকান থেকে কিছু কিছু জিনিস বের করেছেন। তবে বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরাই কোনো মালামাল বের করতে পারেননি বলে জানান।
মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে ভয়াবহ এই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ৬টা ১২ মিনিটেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে কাজ শুরু করে তারা। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া শেষ খবর পাওয়া অবধি হতাহতের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।