সাবমেরিন টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া উদ্ধারকারী দলের প্রধান এড ক্যাসানো অভিযানের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উদ্ধার কাজের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। শনিবার স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ক্যাসানো বলেন, টাইটান যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হওয়ার পরই তার দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। পরে তার প্রতিষ্ঠানের দূরচালিত ডুবোযান ওডিসিয়াস ৬কে টাইটানিকের টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে পৌঁছে যায়।
পেলাজিক রিসার্চ সার্ভিসেসের সিইও বলেন, সমুদ্রের তলদেশে ওডিসিয়াস ৬কে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই তারা টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান।কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি এ ঘটনার গুরুতর দিকটি স্বীকার করে নিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে বলেন।
উদ্ধারকারী দলের প্রধান জানান, প্রথমে তার মনে হয়েছিল যাত্রীদের উদ্ধার করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। রোবটের সাহায্যে অভিযান চালিয়ে সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছে তারা দেখতে পান টাইটানের ধ্বংসাবশেষ।
গত ১৮ জুন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পরই নিখোঁজ হয় ওশানগেট কোম্পানির সাবমেরিন টাইটান। মূলত রওনা হওয়ার পরপরই এটা বিস্ফোরিত হয়।
চারদিনের অনুসন্ধানের পর ২২ জুন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় মার্কিন কোস্ট গার্ড। সাবমেরিনটিতে একজন পাইলট ও ওশানগেটের প্রধান নির্বাহীসহ পাঁচ আরোহী ছিলেন। বিস্ফোরণে সবার মৃত্যু হয়েছে।
কেন এবং কীভাবে সাবমেরিন টাইটান ধ্বংস হয়, সে ব্যাপারে মার্কিন কোস্ট গার্ড আগেই বলেছে, সমুদ্রের তলদেশে ডুবোযানটি পানির অস্বাভাবিক চাপ নিতে পারেনি। এ কারণেই ভয়ঙ্কর অন্তর্মুখী বিস্ফোরণের কারণে মিলিসেকেন্ডের মধ্যেই ডুবোযানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়।এদিকে ২৮ জুন আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ থেকে তুলে আনা হয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে বিস্ফোরিত হওয়া সাবমেরিন টাইটানের ধ্বংসাবশেষ।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদন মতে, এদিন বিধ্বস্ত সাবমেরিন টাইটানের বেশিরভাগ অংশই পানির নিচ থেকে তুলে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডে সমুদ্র উপকূলে আনা হয়। সাবমেরিনের পেছনের অংশও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আশা করা হচ্ছে, যে ত্রুটির কারণে সাবমেরিনটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা খুঁজে বের করতে এই ধ্বংসাবশেষ সাহায্য করবে।
সূত্রঃ সিবিএস নিউজ