তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসলামাবাদের একটি আদালত। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইমরানকে লাহোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার দুপুরে পাঞ্জাব পুলিশ ইমরান খানকে তার জামান পার্কের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
পিটিআই-এর পাঞ্জাব শাখা এক টুইটে জানায়, ইমরান খানকে কোট লাখপত কারাগারে নেয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের একটি আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ইমরান খানকে ১ লাখ রুপি অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত।
ইমরানের বিরুদ্ধে তোশাখানার মামলাটি করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এ মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে আবার শুনানির জন্য বলেছিল। নিম্ন আদালত ইমরান খানকে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায়ে অভিযুক্ত করেছিল।
সম্প্রতি হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহ ছাড়াও নানা অভিযোগে ২০টি মামলায় আদালতে নিজের হাজিরা দেয়াকে বিশ্বরেকর্ড গড়ার সঙ্গে তুলনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোস্ট করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
টুইটে ইমরান খান লেখেন, আজ ক্রিকেটে নয়, ২০টি মামলায় হাজিরা দিয়ে বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছি, যা নতুন রেকর্ড। হত্যা-সন্ত্রাস থেকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। আশ্চর্যজনকভাবে যখন আমি এনএবি কারাগারে বন্দি ছিলাম, তখন আমার বিরুদ্ধে আরও ৯টি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছিল। সবসময় আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমার বিরুদ্ধে ওঠা ১৫০টি মামলার একটিরও আদালতের শুনানি যাতে আমি মিস না করি- তা নিশ্চিত করার জন্য আমি ছুটে চলেছি।
ইমরানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে শতাধিক মামলা হয়েছে। আরও মামলা হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। মামলাগুলো দায়ের হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রদেশে। বেশিরভাগ মামলাতেই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে ভাঙচুরে উসকানির অভিযোগ করা হয়েছে।