সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবিসির ওই ৬ সাংবাদিক ফিলিস্তিনের পক্ষে কি ধরনের বক্তব্য পোস্ট দিয়েছিল তা তদন্ত করা হচ্ছে। তবে তাদের বহিস্কার করা হয়নি।
বিবিসি নিউজ আরবি বিভাগের এসব রিপোর্টারের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সম্প্রচারকারীর নিরপেক্ষতা নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এক্স’এ তাদের পোস্টে ফিলিস্তিনি হামাস প্রতিরোধ আন্দোলনের সমর্থনে বা চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের সমালোচনামূলক বলে মনে হয়েছে।
বিবিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা এই বিষয়টি জরুরিভাবে তদন্ত করছি। আমরা আমাদের সম্পাদকীয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নির্দেশিকা লঙ্ঘনের অভিযোগকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি এবং তা লঙ্ঘন হলে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ব্যবস্থা নেব।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত না করা হলেও, সমস্ত পোস্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মিশর এবং লেবানন ভিত্তিক সাংবাদিকদেরও হামাসের সমর্থনে বা ইসরায়েলের সমালোচনামূলক পোস্ট পছন্দ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। একটি পৃথক বিবৃতিতে, বিবিসি বলেছে যে তেল আবিবে তার নিউজ আরবি দলের একজন সদস্যকে গত সপ্তাহের শেষ দিকে ইসরায়েলি পুলিশ মিডিয়া হিসাবে চিহ্নিত একটি গাড়িতে থামিয়ে লাঞ্ছিত করেছিল।
বিবিসি এও বলছে সাংবাদিকদের অবশ্যই ইসরায়েল-গাজার সংঘাতের বিষয়ে স্বাধীনভাবে রিপোর্ট করতে সক্ষম হতে হবে।
এদিকে গত সপ্তাহে, মার্কিন মিডিয়া এমএসএনবিসি’র মেহেদি হাসান সহ তিনজন বিশিষ্ট মুসলিম সাংবাদিককে উপস্থাপকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের সম্পাদকীতে এনবিসির ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের আক্রমণের সংবাদ পরিবেশনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে।