ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) নালিশ করেছে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ। এসব দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে সেগুলো যেন তদন্ত করা হয়।
আর সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পক্ষ হয়ে পাঁচ দেশের আন্তর্জাতিক আদালতের দারস্থ হওয়ার বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা আইসিসিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগকে স্বাগত জানাই। ফিলিস্তিনিরা সবচেয়ে ভয়াবহ বছর পার করার পর এবং রোমান সংবিধিতে থাকা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর এ ধরনের অভিযোগ করা হলো।’
বাংলাদেশ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নালিশ করা অন্য দেশগুলো হলো— দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমোরোস এবং জিবুতি।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) আইসিসির জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর করিম আহমেদ খান জানিয়েছেন, ৫ দেশের প্রতিনিধিদের এই যৌথ আবেদন গ্রহণ করেছে আইসিসি।
ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়, এই আদালতকে স্বীকৃতিও দেয়নি এখন পর্যন্ত; তবে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য।
করিম খান জানিয়েছেন, ২০০২ সালে যে রোমান সংবিধির ওপর ভিত্তি করে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সংবিধি অনুযায়ী কোনো সদস্যরাষ্ট্র যদি বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হামলার শিকার হয় এবং ওই হামলাকারী রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সনদে স্বাক্ষরকারী কিংবা স্বীকৃতি দানকারী দেশ না ও হয়— তাহলেও ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে আইসিসি।
ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ায় গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। যদিও রাশিয়া এই আদালতের সদস্য নয়। তবে যেসব দেশ এটির সদস্য— সেসব দেশে যদি পুতিন যান তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের হাতে সোপর্দ করতে হবে।