বিশ্বকাপে টানা পাঁচ হার নিয়ে বাংলাদেশ গতকাল মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানের। প্রথম দুই ম্যাচ জেতা পাকিস্তানও বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে হেরেছিল টানা চার ম্যাচে। চাপে থাকা এ দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। আর এই হারে নিশ্চিত হয়েছে, বাংলাদেশ আর কোনোভাবেই শেষ চারে যেতে পারছে না।
বিশ্বকাপে এমন টানা ব্যর্থতার কারণে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে সাকিব আল হাসানের দল। শুধু দেশের মধ্যেই নয়, অন্য দেশের সাবেক ক্রিকেটাররাও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল এ স্পোর্টসের বিশ্বকাপ নিয়ে টক শো ‘প্যাভিলিয়ন’–এ বিশ্লেষকের ভূমিকায় আছেন আকরাম। অনুষ্ঠানটিতে এর আগেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। কলকাতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন, বাংলাদেশের খেলা দেখে নাকি তাঁর মনে হয়েছে, খেলোয়াড়দের দেশে ফেরার অনেক তাড়া।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ভালো দিক একটাই খুঁজে পেয়েছেন আকরাম—ব্যাটিং অর্ডারে মাহমুদউল্লাহকে ওপরে ওঠানো, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলের ঢাকায় ফেরার অনেক বেশি তাড়া। তাদের ব্যাটিং গড়পড়তা মানেরও নিচে ছিল। শুধু মাহমুদউল্লাহই অর্ধশতক পেয়েছে। শুকরিয়া যে ওরা মাহমুদউল্লাহকে ৭ নম্বরের জায়গায় ৫ নম্বরে পাঠিয়েছে। অভিজ্ঞ লিটন দাস ৪৫ রান করে বাজে শট খেলে আউট হয়ে গেছে। তানজিদ হাসানের পারফর্ম করা উচিত ছিল। একটি ম্যাচে সে ভালো খেলেছে, বাকি সময় সংগ্রাম করেছে।’
আকরাম অবশ্য সবচেয়ে বেশি হতাশ নাজমুল হোসেনের পারফরম্যান্সে, ‘বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে হতাশ করা ব্যাটসম্যানটি হচ্ছে শান্ত (নাজমুল হাসান)। বিশ্বকাপের আগে সে ভালো করছিল। সম্ভবত চাপের কারণেই সে বিশ্বকাপে পারেনি। তাওহিদ ২৫ রান করেছে, কিন্তু সেটা মোটেই যথেষ্ট ছিল না। ৫০ ওভারের ম্যাচে এই উইকেটে ২০৪ রান মোটেই যথেষ্ট নয়।’
বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচের পর মাহমুদউল্লাহকে নিচে পাঠানোয় রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন তিনি, ‘আপনার মিডল অর্ডারে যখন এত সমস্যা, তখন আপনার সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এত নিচে ব্যাটিং করে! মাহমুদউল্লাহ কেন ৭-৮ নম্বরে ব্যাট করবে? তার টেকনিক ভালো, অভিজ্ঞও। বুঝলাম সে ফিনিশার। কিন্তু ফিনিশারের প্রয়োজন তখনই পড়বে, যখন আপনার মিডল অর্ডার কাজ করে।’
পাকিস্তান ম্যাচে মাহমুদউল্লাহকে শেষ পর্যন্ত ৫ নম্বরে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। লিটন দাসের সঙ্গে বিপর্যয়ের মুখে ভালো একটি জুটিও গড়েন তিনি। তবে শাহিন শাহ আফ্রিদির দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ৭০ বলে ৫৬ রান করে। মাহমুদউল্লাহ–লিটনের জুটির সময় এর জন্য টুইটারে আকরামসহ পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের দায়ী করে টুইট করেন অনেক সমর্থক।