সিলেট ১০ নম্বর কূপের একটি স্তরে তেলের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এছাড়া, সেখানকার চারটি স্তরে ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মিলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
সবার জন্য এই বিজয়ের মাসে বিরাট সুখবর উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, সিলেট গ্যাসক্ষেত্র ১০ নম্বর কূপে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে দিনে ৫শ থেকে ৬শ ব্যারেল তেল পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তেলের মজুদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে ৩ থেকে ৪ মাস পর।
তিনি বলেন, তেল ছাড়াও কূপের চারটি স্তরের গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মজুতের পরিমাণ ৪৩ দশমিক ১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।
দুই হাজার ৪০০ থেকে ৬০ এবং দুই হাজার ৪০০ থেকে ৭৫ মিটারের আরও একটি ভালো গ্যাসের স্তর পাওয়া যায়। এখানে টেস্ট করলে ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি, জানান তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, দুই হাজার ২৯০ থেকে দুই হাজার ৩১০; এই স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরবর্তীতের এক হাজার ৩৯৭ থেকে এক হাজার ৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন আবিষ্কৃত হয়। যেখানে গত ৮ ডিসেম্বর টেস্ট করে তেলের উপস্থিতি জানা যায়। প্রাথমিকভাবে এর এপিআই ২৯ দশমিক সাত।
প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারল তেলের প্রভাবক পাওয়া যাচ্ছে। এই মুহূর্তে যে প্রেসার আছে, ড্রিল করার সময় ৩৫ ব্যারলের মতো তেল উঠছে এখন। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুত জানা যাবে। এর জন্য আরও চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন. দুই হাজার ৫৪০ এবং দুই হাজার ৫৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে আট থেকে ১০ বছর সাসটেইন করবে এই পুরো জায়গাটা। গড় মূল্য দাঁড়াবে আট হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
এর আগে সিলেটের হরিপুরে ১৯৮৬ সালে তেলের মজুদ পাওয়া যায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আমিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।