ঢাকামঙ্গলবার , ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি

নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৭:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ইয়াঙ্গুন, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ : মিয়ানমারের জান্তা সরকার দেশটির সাজাপ্রাপ্ত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচিকে গৃহবন্দী করেছে। কারাগার থেকে সরিয়ে নিয়ে তাকে গৃহবন্দী করা হলো। বুধবার এক সূত্র এএফপি’কে এ কথা জানিয়েছে।

পৃথকভাবে দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র জানান, গরম আহাওয়ার কারণে দেশটির বয়স্ক কারাবন্দীদের ‘প্রয়োজনীয় যত্ন’ নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৭৮ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ীর ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ সাময়িক বা সাজা হ্রাসের অংশ কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমও খবর দিচ্ছে যে সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দী নেত্রী অং সান সু চিকে রাজধানী নেপিদো’র একটি কারাগার থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তবে তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

একজন সামরিক মুখপাত্র দাবি করেছেন যে প্রচণ্ড গরম থেকে বয়স্ক ব্যক্তিদের রক্ষা করার জন্য তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টা শুধুমাত্র ৭৮ বছর বয়সী অং সান সু চির জন্য নয়, যাদের প্রয়োজন রয়েছে তাদের সকলের জন্য।

উল্লেখ্য, এপ্রিল হলো মিয়ানমারে বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম সময়।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে অং সান সু চিকে আটকাবস্থায় রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রপন্থী এই নেত্রী দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। গত আগস্টে তার কারাগারের মেয়াদ হ্রাস করা হয়েছিল, তবে এখনও ২৫ বছরেরও বেশি সময় তাকে বন্দী অবস্থায় কাটাতে হবে।

তার আইনি দল এনএইচকে’কে বলেছে যে তারা কোন স্থানান্তরের কথা শুনেনি। তার কারাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে বলে তারা জানায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জনসাধারণের প্রবল প্রতিক্রিয়া প্রতিহত করার চেষ্টায় অং সান সু চির প্রতি জান্তা এধরনের আচরণ করে থাকতে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক বাহিনী বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার ঘোষণা দেয়, যা অনেক যুবককে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে পালিয়ে যেতে বা গণতন্ত্রপন্থী বাহিনীতে যোগ দিতে প্ররোচিত করছে।