ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার খুনে ভারতে সিআইডি-র হাতে উঠে এসেছে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য, তবে এখনও মেলেনি দেহ।
কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়েই তদন্তকারীরা পর্যায়ক্রমে চুলচেরা নজর রাখে সিসিটিভি ফুটেজের গতিবিধি থেকে শুরু করে হত্যালীলা চালানো সেই ফ্ল্যাটে। ফরেনসিক টিম অত্যাধুনিক সরঞ্জাম আলট্রাভায়োলেট রে ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে খাটের কোণে ও রান্না ঘরের মেঝেতে রক্তের চিহ্ন পেয়েছেন।
তদন্তকারীদের সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সাংসদ খুনের ঘটনা ঘটার পর, গোটা ফ্ল্যাটে প্রমাণ লোপাটের জন্য পরিষ্কার করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করার পর দেহ ছোট ছোট টুকরো করে গায়েব করা হয়েছে বলেও অনুমান তদন্তকারী গোয়েন্দা আধিকারিকদের। আর এই নৃশংস কাজ করার জন্য সুপারি কিলার সহ কসাই ভাড়া করা হয়েছিল বলেও মনে করছে সিআইডি।
তবে সাংসদকে নিউটনের এই অভিজাত আবাসনে নিয়ে আসতে হানিট্র্যাপ হিসেবেই ব্যবহার করা হয়েছিল মহিলা শিলাস্তি রহমানকে। কিলিং মিশনে দেহ লোপাটে পর্যায় ক্রমে ৬ জনের ওই দল কে নেতৃত্ব দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান।
সাংসদ আনোয়ারুল আজিম কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসবেন জেনেই আগে থেকে করা হয় খুনের পরিকল্পনা। সিসিটিভি ফুটেজ ও যে ক্যাব-ড্রাইভার এর গাড়ি ব্যবহার করে দেহ লোপাট করা হয়েছিল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই ভাঙড়ের একটি জলাশয়ে দেহাংশের খোঁজ চালাচ্ছে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনার পর দেহ টুকরো করার জন্য মুম্বাই থেকে আনা হয়েছিল খুলনার বাসিন্দা কসাই জিহাদকে।
সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই বনগাঁ সীমান্ত থেকে সিআইডি এসটিএফ এবং বাংলাদেশ পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। আর এই কসাই গ্রেফতারের পরই আরও নিশংসতার কথা জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। সাংসদের দেহাংশ যাতে চিনতে না পারা যায় তার জন্য খুনের পরই দেহ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় চামড়া। তারপর টুকরো টুকরো করে কেটে তাতে হলুদ জাতীয় কোন রাসায়নিক মেশানো হয়েছে বলেও ফরেনসিক দলের তদন্তকারীরা অনুমান করছেন। এরপরই প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ট্রলিতে করে কলকাতার নানা জায়গায় দেহাংশ ফেলে দেওয়া হয়েছে। আজ তাকে বারাসাত আদালতে পেশ করা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার বেআইনি ।
2023 DailyNews24BD.com