বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বৃহস্পতিবার লন্ডনে ব্রিটিশ হোম অফিসে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এ বৈঠকে প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ বিষয়ক ব্রিটিশ মন্ত্রী জেমস টমলিনসন-মাইনরস কেসি এবং লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের সূচনা করেন। তারা দুই দেশের মধ্যে এসওপি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন। আজ এখানে প্রাপ্ত একটি বার্তায় এ কথা জানা গেছে।
২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ইইউ এসওপি এর অনুরূপ বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য এসওপি অন রিটার্নস স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যে অধিককাল অবস্থানের পর যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশীদের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার আগে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হতো।
বাংলাদেশের হাইকমশিনার তাসনিম তার বিবৃতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের উপর ভিত্তিতে দুটি কমনওয়েলথ দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা মূল্যবান কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হওয়ার কথা স্মরণ করেন।
অনিয়মিত অভিবাসন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে হাইকমিশনার বলেন, লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের সহযোগিতায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অনেক অনথিভুক্ত বাংলাদেশীদের প্রত্যাবাসনে কাজ করছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে নথিবিহীন বাংলাদেশীর সংখ্যা এখন খুবই কম এবং বাংলাদেশ হোম অফিস হাইকমিশনের সহায়তায় ব্রিটিশ হোম অফিসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
হাইকমিশনার বলেন, “সুসংবাদ হলো যুক্তরাজ্যে অনথিভুক্ত নাগরিকদের সংখ্যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যেও নেই। তবুও ব্রেক্সিট-পরবর্তী যুক্তরাজ্যের সাথে আমাদের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা প্রয়োজন ছিল।”
এসওপি স্বাক্ষর করা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ এ বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে দক্ষ ও অধিক প্রতিভাবানদের অভিবাসন সহ সুশৃঙ্খল অভিবাসনের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে পারস্পরিক আইনি সহায়তা প্রদান, প্রত্যর্পণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা প্রতিরোধ, এবং সেইসাথে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি
সক্ষমতা বৃদ্ধি করার বিষয়ে আলোচনার পথ উন্মুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল কবির মেনন এবং যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের মহাপরিচালক বাস জাভিদ নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র প্রতিনিধিরা ছাড়াও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার বেআইনি ।
2023 DailyNews24BD.com