রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউর সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি সই করেছে । একইসঙ্গে দেশটি লিথুয়ানিয়া ও এস্তোনিয়ার সঙ্গেও আলাদা আলাদাভাবে একই ধরনের চুক্তি সই করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, চুক্তির শর্ত অনুসারে ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা দিয়ে যাবে ইইউ।
২০২৩ সাল থেকে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ ন্যাটোভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল ইউক্রেন। তবে এসব চুক্তির কোনোটিতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে সরাসরি এসব দেশের অংশগ্রহণের কথা বলা হয়নি।
বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইইউভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইইউর পাশাপাশি লিথুয়ানিয়া ও এস্তোনিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ইউরোপের যেসব দেশ এখনও এ চুক্তিতে সই করেনি তাদের সবার উচিত কিয়েভের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি সই করা।
জেলেনস্কি এর আগে সামাজিক মাধ্যমে এক্সে প্রকাশিত এক পোস্টে জানিয়েছিলেন, ইইউর সঙ্গে তার দেশের স্বাক্ষরিত চুক্তির ভিত্তিতে এই ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশের সবাই তাদের অভ্যন্তরীণ যেকোনো পরিবর্তনের ঊর্ধ্বে উঠে ইউক্রেনকে ব্যাপক সহযোগিতা করে যাবে।
রাশিয়া শুরু থেকে পাশ্চাত্যকে এই বলে সতর্ক করে দিয়ে আসছে যে, তারা যত সহযোগিতাই করুক চলমান যুদ্ধে তারা ইউক্রেনের পরাজয় রোধ করতে পারবে না। ক্রেমলিন একইসঙ্গে বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র সহযোগিতা করে মূলত ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সম্প্রতি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সহযোগিতা করে বরং ইউরোপকে আরো বেশি অনিরাপদ করে তুলছে।