ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছে গোপনে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রি করেছে ভারত।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইল যখন বর্বর আগ্রাসন চালাচ্ছে এবং দখলদার সেনাদের বিমান হামলা ও গোলার আঘাতে প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন তখন এই অস্ত্র রপ্তানির কথা ফাঁস হলো ।
নয়া দিল্লী একদিকে কূটনৈতিক সমাধানের কথা বলছে এবং সংলাপকেই প্রাধ্যান্য দিচ্ছে, অন্যদিকে তারা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি করছে। কাতারভিত্তিক আল জাজিরার হাতে আসা নথিগুলো থেকে বোঝা যায় যে, ইসরাইল গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর জন্য ভারতীয় অস্ত্র গ্রহণ করছে ।
গত ৬ জুন, গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইল জাতিসংঘের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বোমা হামলার পর কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা একটি ক্ষেপণাস্ত্রের অবশিষ্টাংশের ভিডিও প্রকাশ করে। এতে একটি লেবেলে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল- “মেইড ইন ইন্ডিয়া।”
এছাড়া, এপ্রিল মাসের ২ তারিখে ভারতের চেন্নাই থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে বোরকাম নামে একটি জাহাজ ইসরাইলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় এবং ইয়েমেনের হুথিদের হামলা এড়ানোর জন্য লোহিত সাগর দিয়ে না গিয়ে জাহাজটি আফ্রিকা ঘুরে ইসরাইলে যাওয়ার চেষ্টা করে। পথে স্পেনে যাত্রাবিরতি করার চেষ্টা করলে স্প্যানিশ সরকার তাতে রাজি হয়নি। ওই জাহাজের বিষয়ে স্পেনের বামপন্থি সংগঠনগুলো প্রতিবাদ গড়ে তোলে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতিসংঘে দেশটির কূটনীতিকরা ও ভারতীয় কর্মকর্তারা– লাগাতার বলে আসছেন যে, যুদ্ধ নয়, দ্বন্দ্ব সমাধানের একমাত্র উপায় হিসেবে দেশটি সংলাপ এবং আলোচনায় বিশ্বাস করে।
এ বিষয়ে ‘দ্য ইভোলিউশন অব ইন্ডিয়াস ইসরাইল পলিসি’র লেখক নিকোলাস ব্লারেল আল জাজিরাকে বলেন- ভারত তার অবস্থান থেকে সরে গিয়ে ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। এ নিয়ে আল জাজিরা গত ১৭ এবং ২১ জুন ভারতের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি।