ইয়াঙ্গুন, ২ জুলাই, ২০২৪ : মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে বন্যায় হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছে এবং বিদ্যুৎ ও ফোন লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এদিকে রাজ্য আবহাওয়া অফিস আরো ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং বাসিন্দারা মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পরিবেশিত খবরে বলা হয়, উত্তর কাচিন রাজ্যের শহর মাইটকিনাতে কয়েকদিনের ভারী বর্ষনের পর আয়ারওয়াদি নদীর পানি ‘বিপদ সীমার’ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে অনেক ভবন প্লাবিত হতে এবং লোকজনকে তাদের জিনিসপত্র মাথায় করে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
মাইটকিনারের একজন বাসিন্দা এএফপি’কে বলেছেন, ‘সেখানে বন্যার পানি খুব দ্রুত বাড়ছে। অনেক বাসিন্দা এখনো তাদের বাড়িতে আটকা পড়াবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বন্যার কারণে রোববার থেকে বিদ্যুত ও ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেছে।
‘শহরে জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং উদ্ধারকারীরা মোটর বোটে মানুষের কাছে পৌঁছাতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।’
মাইটকিনারের আরেক বাসিন্দা বলেন, তার বাড়ির নিচতলা পানিতে ডুবে গেছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদের কাছে না পৌঁছানো পর্যন্ত তিনি প্রতিবেশীদের সাথে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বন্যার পানি কিছুটা কমতে দেখা গেছে। কিন্তু এখনো বৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, বন্যার পানি হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িতে আটকে রেখেছে এবং রাজ্য আবহাওয়া অফিস আগামী দিনে আরো ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছে।