দাম বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় সামলাতে যখন হিমশিম খাচ্ছে মানুষ, তখনই নাইজেরিয়াজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এরমধ্যেই দেশটির উত্তরাঞ্চলের একাধিক রাজ্যে ২৪ ঘন্টব্যাপী কারফিউ জারি করেছে রাজ্যগুলোর স্থানীয় সরকার। খবর, বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২ আগষ্ট) স্থানীয় সরকার কানো, জিগাওয়া, ইয়োবে ও কাতসিনা রাজ্যজুড়ে দিবারাত্রি কারফিউ জারি করে। সেখানকার লাখ লাখ বাসিন্দাকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার ও প্রতিবাদে যোগ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
এদিকে কর্তৃপক্ষ বলেছে, দুষ্কৃতকারীরা লুট ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ভাঙচুর করছে। তাই কারফিউ জারি করা প্রয়োজন হয়েছে। প্রতিবাদের প্রথম দিন উত্তরাঞ্চলীয় শহর কানোতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টায় পুলিশ টিয়ার শেল ও গুলি ছোড়ে এবং গরম পানি ছিটায়। এ সময় গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত এবং বহু আহত হন।
নাইজেরিয়ার সারা দেশজুড়ে এই বিক্ষোভ সংগঠিত করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। নাইজেরিয়ার আন্দোলনকারীরা কেনিয়ার বিক্ষোভকারীদের সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই বিক্ষোভের ডাক দেয়। সম্প্রতি কেনিয়ার বিক্ষোভকারীরা সরকারকে কর বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছে।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু ২০২৩ সালের মে-তে অভিষেক ভাষণ দেওয়ার সময়ই জ্বালানির ওপর ভর্তুকি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়। সরকারি ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এতে জ্বালানির দাম বেড়ে যায়, যার প্রভাব খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্যের ওপরও পড়ে।
উল্লেখ্য, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ হন। জ্বালানির মূল্য কমানো ছাড়াও বিক্ষোভকারীরা দেশটির বিচার ও নির্বাচনী ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার বেআইনি ।
2023 DailyNews24BD.com