বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৪২২ জন বিএনপির নেতাকর্মী। এমন দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই আন্দোলন হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। এটি বহু বছরের নির্যাতন,নিপীড়ন ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিএনপির দীর্ঘদিনের নিরবিচ্ছিন্ন পরিক্রমা। এখানে বিএনপির আবদান খাটো করার কোন অবকাশ নেই। এ সময় আন্দোলনের কৃতিত্ব নয়, স্বৈরাচার পতন নিশ্চিত করাই বিএনপির লক্ষ্য ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের জন্যই আন্দোলনে এতো মানুষের প্রাণ ঝরেছে। তাই নির্বাচনকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ অন্তর্বর্তী সরকারের। নির্বাচন কমিশন সংস্কারে কমিটি গঠন করা হয়েছে। চাইলে আগামী দুইমাসের মধ্যে নির্বাচন দেয়া যেতে পারে।
এ সময় ছাত্র-জনতার বিপ্লব নস্যাৎ করতে এখনও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাউদ্দিন আহমেদসহ দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।