ঢাকা মহানগরীতে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণেরে লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান।
ঢাকায় দুই কোটিরও বেশি মানুষের জন্য মাত্র চার হাজার ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজধানীর ৩৩৯টি পয়েন্টে শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি সদস্য। পৃথিবীর কোনো দেশের রাজধানীতেই ম্যানুয়াল ট্রাফিক ব্যবস্থা নেই। শুধু আমাদের দেশেই এই ব্যবস্থায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ম্যানুয়ালি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কষ্টের। আর সেই কাজটাই দিনের পর দিন করে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।’
যারা দোকানের মালামাল দিয়ে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ফুটপাত দখলে রাখলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাইনুল হাসান।
এ সময় রাজধানীর সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে অবৈধ ও আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ট্রাফিক সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সবাইকে তৎপর থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্যকে আইন মানানোর আগে নিজেদের আইন মেনে চলতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনারসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।