ঢাকা, ২ জানুয়ারি, ২০২৫ : গুরুত্বপূর্ন একটি পর্বে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ; অবশেষে জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
১৯৭২ সালের ৪ মে নজরুল ইসলামের বাংলাদেশে আগমনের তারিখ থেকে তাকে জাতীয় কবি হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুসারে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত গেজেট প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবি হিসেবে মর্যাদা ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও স্বীকৃত। সরকার প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ করে, জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। কবি নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে ঢাকায় আনা হয় এবং বসবাসের জন্য ধানমন্ডির ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ দেয়া হয়।
পুরস্কার ও সম্মাননা
- ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি: বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদেয় হয়।
- ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি: একুশে পদকে ভূষিত।
- ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
মৃত্যু ও জানাজা
কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট ইন্তেকাল করেন। তার ইচ্ছানুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। তার নামাজে জানাজায় ১০,০০০ এরও বেশি মানুষ অংশ নেয় এবং সরকারিকভাবে দুটি দিনের রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালিত হয়।
সংক্ষিপ্ত ইতি
২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারিভাবে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে জাতীয় কবি হিসেবে সম্মাননা জানানো হয়। এটি নজরুল ইসলামের দেশের প্রতি অবদান ও ভালবাসার স্বীকৃতি দেয়।
এই পদক্ষেপ নজরুলের অসামান্য সাহিত্যকর্ম ও সংস্কৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বীকৃতি হিসাবে রয়ে গেছে। কাজী নজরুল ইসলামের অবদানকে স্মরণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও তাকে যথাযথ সম্মান জানাতে পারবে।