অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর।
আজ বেলা সোয়া ১১টায় অঞ্জনার মরদেহবাহী এম্বুলেন্স বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএফডিসির ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করে ছিলেন ভক্ত, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
বিএফডিসিতে অঞ্জনাকে শ্রদ্ধা জানান চলচ্চিত্র পরিচালক ছটকু আহমেদ, অভিনেতা ও শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, জয় চৌধুরী, মেহেদি হাসান, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজা, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও অভিনেতা সনি রহমানসহ চলচ্চিত্র ও অভিনয় জগতের অনেকে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল বাসসকে জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় জানাজা শেষে অঞ্জনাকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
অঞ্জনা ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমাটি ছিলো ‘দস্যু বনহুর’। এরপর তিনি অশিক্ষিত, গাংচিল, পরিণীতা, অভিযান, আলাদিন আলিবাবা সিন্দাবাদ, আশার আলো, বৌরাণী, সোনার হরিণ, মাটির পুতুলসহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়া তিনি উপমহাদেশের বিভিন্ন ভাষায় বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্যশিল্পী হিসেবেও তিনি সুনাম অর্জন করেন।
‘গাংচিল’ সিনেমার জন্য ১৯৮২ সালে এবং ‘পরিণীতা’ সিনেমার জন্য ১৯৮৬ সালে পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
দীর্ঘদিন অভিনয়ে সরব না থাকলেও অঞ্জনা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেছেন চলচ্চিত্র অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সর্বশেষ তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নিঃসন্দেহে অঞ্জনার এই প্রয়াণে চলচ্চিত্র জগতে এক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।