ঢাকাশুক্রবার , ৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আগামী ৭ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : বৈশ্বিক বাণিজ্যিক পরিবর্তনে জাতীয় চ্যালেঞ্জ

Link Copied!

আগামী ৭ মাস বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক বাণিজ্যিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে জাতীয় চ্যালেঞ্জ

ঢাকা, ২ মে ২০২৫: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে, আগামী সাত মাস (মে-নভেম্বর ২০২৫) বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। তিনি সতর্ক করে বলেন, “এই সময়টি বাংলাদেশকে গড়ে তুলতেও পারে, আবার ব্যর্থও করতে পারে।”

  • চট্টগ্রাম বন্দরের রূপান্তর:
    সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। শফিকুল আলম জোর দিয়ে বলেন, “এটি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক শীর্ষস্থানীয় বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর অংশীদারত্ব অপরিহার্য। সফল হলে এটি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও উন্মুক্ততার শক্তিশালী সংকেত দেবে।”
  • বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনর্গঠন:
    তিনি উল্লেখ করেন যে, ব্রেটন উডস পরবর্তী বিশ্ব অর্থনৈতিক কাঠামো (যা ডব্লিউটিও-র মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল) এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো (জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন) রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে যে সাফল্য পেয়েছে, এখন বাংলাদেশের জন্য সেই সুযোগ আসতে পারে। তবে তিনি প্রশ্ন রাখেন, “আমরা কি এই মুহূর্তটি কাজে লাগাতে পারব?”
  • লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ:
    শফিকুল আলম সতর্ক করেন যে, দ্রুত ও দক্ষ পণ্য পরিবহন সক্ষমতা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। “এখানে ব্যর্থতা হলে বাংলাদেশের উৎপাদনশীল শক্তি হিসেবে আবির্ভাবের স্বপ্ন ভেঙে যেতে পারে,” বলেন তিনি।

অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট:

  • গত দশকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে, কিন্তু লজিস্টিক খাতের দুর্বলতা (যেমন: বন্দর ব্যবস্থাপনা, শুল্ক প্রক্রিয়াকরণ) এখনও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাধা।
  • বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
  • রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সরকারের পরিকল্পনা:

  • চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নে বিশ্বমানের বন্দর অপারেটরদের সাথে অংশীদারত্ব গড়ে তোলা।
  • শুল্ক প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন ও বন্দর অপারেশনের গতি বাড়ানো।
  • বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড)-এ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য নীতিমালা সহজীকরণ।

বিশেষজ্ঞদের প্রতিক্রিয়া:

  • ড. জাহিদ হোসেন (অর্থনীতিবিদ): “লজিস্টিক খাতের উন্নয়ন ছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হবে।”
  • ড. সেলিম রায়হান (সানেম): “বৈশ্বিক বাণিজ্যিক পরিবর্তনের সুযোগ নিতে হলে উৎপাদনশীলতা ও শিল্প-বান্ধব নীতি জরুরি।”

শফিকুল আলমের এই বক্তব্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি সতর্কবার্তা। আগামী সাত মাসে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নই নির্ধারণ করবে, বাংলাদেশ কি বৈশ্বিক উৎপাদন ও বাণিজ্যের নতুন ধারায় অংশ নিতে পারবে, নাকি পিছিয়ে পড়বে।